চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ ৮৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) কচুয়া থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাইদ।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মেয়র নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ৫০০ জনকে বিবাদী করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকাল সাড়ে ৫টার ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সমর্থক ৪০-৫০ জন যুবক সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবীর গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাঙচুর করে এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় অতর্কিত হামলা ও মারধর করে আসামীরা ২৭ জনকে জখম করে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী।
এ মামলায় সাক্ষী ১৬ জন। তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, তার স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহসভাপতি নাজমুন নাহার বেবী, আতাউল করিম, ওলিউল্যাহ, শিব্বির আহমেদ, কবির হোসেন, ওবায়েদ মুন্সি ও জাকির হোসেন প্রমুখ।