পশ্চিম তীরের তুলকারম শহরের একটি মসজিদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা পাঁচ ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এই দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। কয়েক মাসের মধ্যে দখলকৃত এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা এটি। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, অভিযান এখনও শেষ হয়নি। বুধবার ভোরে কয়েকশ ইসরায়েলি সেনা, হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং সাঁজোয়া যান তুলকারম, জেনিন ও জর্ডান উপত্যকার শহরগুলোতে হামলা চালায়। রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি অঞ্চলের দুটি প্রধান টেলিযোগাযোগ সংস্থার একটি জাওয়ালেও পুরোপুরি নেটওয়ার্ক বিভ্রাট ছিল।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবারের অভিযানে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনারা নির্জন শহরের রাস্তায় ও জেনিনের প্রধান হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া যোদ্ধাদের প্রতিরোধ করতে বুধবার এই হাসপাতালে প্রবেশ বন্ধ করে দেয় তারা।
ইসরায়েল বলেছে, তুলকারম মসজিদে নিহত পাঁচজন যোদ্ধার মধ্যে একজন ছিলেন মুহাম্মাদ জাব্বার। ‘আবু সুজা’ নামে পরিচিত এই যোদ্ধা শহরের পাশের নূর শামস শরণার্থী শিবিরে যোদ্ধাদের একটি নেটওয়ার্কের প্রধান ছিলেন। ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখার তুলকারম বিভাগ বলেছে, ‘আমাদের নেতা হত্যার প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে যোদ্ধারা আবু উবাইদা মসজিদের পিছনে একটি পদাতিক বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করতে সক্ষম হয়েছে’
সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, তাদের কাছে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ হওয়ার পরই ইসরায়েলি সেনাদের ওপর ‘সরাসরি হামলা’ করে।
বুধবার পৃথক বিবৃতিতে হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও ফাতাহ উপদলের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তাদের বন্দুকধারীরা জর্ডান উপত্যকার জেনিন শহর, তুলকারম এবং ফারাহতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ওপর বোমা হামলা করছে। প্রায় ১১ মাস আগে গাজায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিম তীরে সংঘর্ষ বেড়েছে।